বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ নিতে ধীরে চলো নীতিতে চলছে টেলিটক!

কোনো এলাকায় নিজেদের নেটওয়ার্ক না থাকলেও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ নিতে ধীরে চলো নীতিতে চলছে টেলিটক।

প্রাথমিকভাবে অক্টোবরের ১৭ তারিখ এই ‘ন্যাশনাল রোমিং’ সেবা উদ্বোধনের উদ্যোগ নেয়া হলেও একমাত্র টেলিটকের অনিচ্ছার কারণে তা হয়নি।

এই ন্যাশনাল রোমিংয়ে দুটি অপারেটর পরস্পরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবে। এতে কোথাও একটি অপারেটরের নেটওয়ার্ক না থাকলে কিংবা তা দূর্বল হলে তখন ওই এলাকায় অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের মোবাইল সেবা চালু রাখার ব্যবস্থা।

ইতোমধ্যে দুই অপাারেটর নিজেদের মধ্যে ভয়েস কল, এসএমএস, ইউএসএসডি সেবার ইনকামিং-আউটগোয়িং পরীক্ষা করেছে। সেখানে এটির সফলতার হারই বেশি দেখা গেছে।

বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলছেন, তারা এই উদ্যোগ চালুতে সব প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছেন। নীতিগত ও কারিগরি যা কিছু তার সবকিছুই তারা সম্পন্ন করেছেন।

‘এই উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিটকেরই লাভবান হওয়ার সুযোগ বেশি। বাংলালিংকের সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজার টাওয়ারের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের সঙ্গে অপারেটরটি তাদের গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবে’ বলছিলেন ওই কর্মকর্তা।

অন্যদিকে টেলিটক এখন তাদের বিলিং সমস্যার কথা তুলছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এটা টেলিটকের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। কারণ একটা দূর্বল নেটওয়ার্কের অপারেটরকে সবল নেটওয়ার্কে পরিণত করার সুযোগ এসেছে।’

সবকিছুর পরও এটি চালুর উদ্যোগ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ কী, এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি বেসরকারি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান যে গতিতে কাজ করে, সরকারি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান সে গতিতে কাজ করে না। সময়ের তালে যে যথাযথ প্রযুক্তি গ্রহণ করা উচিত ছিল, টেলিটক তা গ্রহণ করেনি। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দূর্বলতাগুলো একরম পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যা এতদিন তারা দেখেনি।’

‘যখনই নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে, তখন এটা কাজ করছে না, ওটা কাজ করছে না, ওটা পুরোনো টেকনোলজি। এগুলো তারা মাথাতেই রাখেনি কখনও যে, এগুতে হবে।’ বলছিলেন মোস্তাফা জব্বার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলালিংকের সাড়ে ১৪ হাজার বিটিএস টেলিটক কাজে লাগাতে পারবে। এখন টেলিটক যদি এই এত বিটিএস নিজে করতে চায়, তাতে কী বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ লাগবে ভাবা যায়। এখন যদি এমনও হয় যে, এটি চালুতে ১০০ ভাগ সফলতা এখন হচ্ছে না ৫০ ভাগ হচ্ছে, তাহলে এই ৫০ ভাগই বা কেনো এখন নেবো না। টেলিটকের গ্রাহকরা তো দারুণভাবে এতে লাভবান হবে। ‘

‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই সেবা চালুতে সম্মতি দিয়েছেন। একটু পিছিয়ে গেলেও দ্রুত এই সেবা চালু হবে’ বলেন মোস্তাফা জব্বার।

বিটিআরসি বলছে, ন্যাশনাল রোমিং আন্তর্জাতিক রোমিং সেবার মতোই একটি বিষয়। এতে একটি মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা দেশের কোনো এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক না পেলে কিংবা নেটওয়ার্ক দূর্বল হলে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব রকম মোবাইল যোগাযোগ সেবা নেবেন।

এটি চালুতে নীতিগত যা অনুমোদন দেয়ার, তা দিয়েছে বিটিআরসি।

© Techsohor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Press ESC to close